নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ৭ কারণ

ছোট সবুজ রঙের ফল আমলকি। টক স্বাদ হওয়ার কারণে অনেকেই আমলকি খেতে চান না। বিশেষত বাচ্চারা এই ফলটি খেতে একদম পছন্দ করে না। অথচ এই আমলকিতে রয়েছে নানা পুষ্টি গুণ। চুল পড়া রোধ করা থেকে শুরু করে সর্দি কাশি সারিয়ে তুলতে এটি খুবই উপকারী।






আমলকিতে রয়েছে পেয়ারা এবং লেবুর তুলনায় ১০ গুণ বেশি ভিটামিনি সি। কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকির স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। চোখের যত্নে

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। এক গ্লাস আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

২। গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা দূর করতে

দুই টেবিল চামচ আমলকির গুঁড়ো এবং দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি দিনে ৩-৪ বার খান। এই মিশ্রণ গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা দূর করতে বেশ কার্যকর।

৩। হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে

উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। আমলকি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। এবং ধমনীর ব্লক খুলে দিতে সাহায্য করে। নিয়মিত এটি  খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে।

৪। ব্লাড সুগার কমাতে

গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমলকিতে থাকা পলিফেনল রক্তে অক্সিডেটিভ শর্করা থেকে শরীর রক্ষা করে। এটি শরীরে ইনসুলিন শুষে নিতে সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

৫। চর্বি হ্রাস করতে

আমলকি ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের প্রোটিনের স্তর বৃদ্ধি করে, যা দেহের চর্বি কাটতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন আমলকি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৬। হাড় মজবুত করতে

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি osteoclasts কমিয়ে দেয় যা হাড় ভাঙ্গার কারণ তৈরি করে।

৭। রক্ত পরিষ্কার করতে

রক্ত পরিষ্কার করতে এটি বেশ কার্যকর। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীর থেকে টক্সিন উপাদান সব দূর করে দেয়। নিয়মিত খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে।

SHARE THIS

Author:


Previous Post
Next Post